তাহিরপুর(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি
বিজিবি সিলেট সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে পূজা উদযাপনের আপনাদের নিরাপত্তায় বিজিবি সার্বক্ষণিক তৎপর। উৎসবমুখর পরিবেশে এবারের পূজাটা সম্পুর্ণ করার লক্ষ্যে আমরা বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিটি বিজিবি ক্যাম্পে জনবল বাড়িয়েছি। এবং ১৩ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পূজার নিশ্চয়তা দেয়ার জন্য সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছি। সীমান্তবর্তী এলাকার বিভিন্ন জায়গায় বিজিবির পক্ষ থেকে বেসক্যাম্প করা হয়েছে। সীমান্তবর্তী যেখানে পূজামণ্ডপে ১০ মিনিটের মধ্যেই বিজিবি সদস্যরা পৌঁছাতে পারবে। এবং এবছর সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সবগুলো পূজামণ্ডপ সিসি ক্যামেরা আওতায় আনা হবে। তাই পূজামণ্ডপে পূজা চলাকালীন সময়ে যদি কেউ স্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় সিসি ক্যামেরা ফুটেজ আইডেন্টিফাই করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। এবং মাদকের বিরুদ্ধেও আমাদের বিজিবির পক্ষ থেকে জিরো টলারেন্স আছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
সীমান্তের ০৮ কিঃমিঃ এর মধ্যে বিদ্যমান পূজা মন্ডপ সমূহে সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তা,দুস্কৃতিকারীদের নাশকতামূলক কর্মকান্ডের অপচেষ্টা রোধ এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনে পূজা মন্ডপ কমিটিসহ স্থানীয় সকলের সহযোগীতার আবহমান জানান।
আজ শনিবার বিকালে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তের ০৮ কি:মি: এর মধ্যে বিদ্যমান পূজা মন্ডপ সমূহে সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত জনসচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলি বলেন তিনি।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (২৮ বিজিবি) এ কে এম জাকারিয়া,শ্রী শ্রী অদৈত্ব জন্মধাম কমিটির সভাপতি মদূসূদন রায়,লাউড়েরগড় মাদ্রাসা মাওলানা মাইনুদ্দিন,তাহিরপুর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক গনেশ তালুকদার,পূজা মন্ডপ কমিটির সভাপতি, সেক্রেটারীসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিকবৃন্দ এবং লাউরগড় এলাকার গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।